নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং এরিস্টোক্রেট ও এরিস্টোক্রেট এলিট-এর যৌথ উদ্যোগে এবং লিও ক্লাব অব চিটাগং এরিস্টোক্রেট’র সার্বিক সহযোগিতায় কোরবানীগঞ্জ বলুয়ার দিঘী কায়সার নিলুফার কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী একটি স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি মানুষকে সেবা প্রদান করা হয়।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়, যার মধ্যে ছিল খৎনা ক্যাম্প, নাক-কান ছেদন, বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা, ব্লাড গ্রুপিং, ব্লাড প্রেসার নির্ণয়, ডেন্টাল চেকআপ এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এছাড়া ডেঙ্গু সচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ, শীতার্তদের জন্য কম্বল ও মশারি বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারপার্সন লায়ন মোঃ ইসমাইল। প্রোগ্রাম পরিচালনায় ছিলেন রিজিয়ন চেয়ারপার্সন লায়ন মোঃ আশিকুল আলম আশিক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স জেলা ৩১৫—বি৪-এর প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী পিএমজেএফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিএমটি ডিস্ট্রিক্ট কো—অর্ডিনেটর লায়ন ইঞ্জিঃ চন্দন দাস এমজেএফ, এলসিআইএফ ডিস্ট্রিক্ট কো—অর্ডিনেটর লায়ন মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র গভর্নর অ্যাডভাইজার লায়ন এম. শওকতুল ইসলাম এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
প্রধান অতিথি লায়ন শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী পিএমজেএফ বলেন, “আমাদের লায়নদের মূলমন্ত্র হলো অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানো। আমরা নিজেদের অর্থায়নে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি সমাজের বিত্তশালীরা এই উদ্যোগে যুক্ত হন, তাহলে আমরা আমাদের সমাজকে সুখী ও সমৃদ্ধশালী করে তুলতে পারব।”
বিশেষ অতিথিরা বলেন, এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা এই ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে জীবনে নতুন আশার আলো খুঁজে পায়।
লিও ক্লাব অব চিটাগং এরিস্টোক্রেট’র প্রেসিডেন্ট লিও রবিনসহ লিও সদস্যরা সেবার বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তারা বলেন, লিওরা লায়ন্সদের অনুপ্রেরণায় সব সময়ই সেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী।
দিনব্যাপী আয়োজিত এই কর্মসূচি শুধু অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোঁটাতেই নয়, বরং তাদের জীবনে স্বস্তি ও শান্তি এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অনুষ্ঠানটি লায়ন্স ক্লাবের মানবিক কার্যক্রমের একটি অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।