০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইলা’র অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সিডিবিএ নির্বাচনে সম্পাদকীয় পদে প্রার্থী দিতে পারেনি

Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৩৮ Time View

৩৬ শে জুলাই ডেক্স:

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) আইন অনুষদের সাবেক ছাত্রদের সংগঠন আইআইইউসি ল’ এলামনাই এসোসিয়েশন এর সদস্যরা চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ২০২৪ সালের নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং দলের বিভক্তির কারণে সম্পাদকীয় পদে বিজয়ী হতে ব্যর্থ হয়েছে। সংগঠনের মধ্যে বিরোধিতা, দলের অস্থিরতা এবং নির্বাচনী ভোটবিক্রির ঘটনা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।

আইআইইউসি এলামনাই এসোসিয়েশন, যার বর্তমান ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০, তার সদস্যরা বেশিরভাগই জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামিক চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। তবে, এই সদস্যদের মধ্যে একাধিক নেতার পক্ষ থেকে স্থানীয় ও জাতীয় দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি এবং নির্বাচনী সময়ে বিরোধী প্রার্থীদের কাছে ভোট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য ভেঙে পড়েছে এবং এর প্রভাব দলের নির্বাচনী ফলাফলে পড়েছে।

এডভোকেট কাজী আশরাফুল হক আনসারী জুয়েল, যিনি তিনবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং অবশেষে অর্থ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন, প্রথমবার যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তখন তিনি পরাজিত হন। তার পরাজয়ের কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য, হেরে যাওয়া প্রার্থীদের বিরোধিতা এবং ভোট কেনাবেচার ঘটনাগুলোর প্রভাব। এক প্রার্থী জানিয়েছেন, তিনি এক সাবেক সভাপতি কে ২২ হাজার টাকা দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই টাকা নেওয়ার পরেও তাকে নির্বাচনে বিরোধিতা করা হয়েছে। একইভাবে, আরেক সাবেক নেতা রাতের অন্ধকারে ২০,০০০ টাকা নিয়ে অন্য প্রার্থীদের ভোট কেনাবেচার প্রক্রিয়া চালান। এ ধরনের ঘটনা নির্বাচনে ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে, যেখানে জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও কিছু প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেননি।

আইআইইউসি এলামনাই এসোসিয়েশন এর সদস্যরা ভবিষ্যতে সম্পাদকীয় পদে নির্বাচন করতে হলে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এটি তাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। নেতৃবৃন্দের মধ্যে এই ধরনের অস্থিরতা ও দলের মধ্যে বিভক্তি অব্যাহত থাকলে, এই অ্যাসোসিয়েশন থেকে সম্পাদকীয় পদে নির্বাচিত হওয়া কঠিন হয়ে উঠবে।

নির্বাচনী ত্রুটি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কিছু সম্ভাবনাময় প্রার্থী, যারা নির্বাচনে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, তারা হারেন এবং পদ পাওয়ার সুযোগ হারান। এ কারণে, ভবিষ্যতে তারা যদি ঐক্যবদ্ধ না হতে পারে তবে দলের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে। আইআইইউসি এলামনাই এসোসিয়েশন এর নেতাদের এই অভ্যন্তরীণ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা এবং দলের মধ্যে সমঝোতা তৈরি করা এখন অতীব জরুরি।

সংগঠনের সিনিয়র সদস্যরা আশাবাদী যে, আগামী নির্বাচনে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হবেন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারবেন। তবে, অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর না করলে, ভবিষ্যতে সম্পাদকীয় পদে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ইলা’র অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সিডিবিএ নির্বাচনে সম্পাদকীয় পদে প্রার্থী দিতে পারেনি

Update Time : ১২:৫৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

৩৬ শে জুলাই ডেক্স:

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) আইন অনুষদের সাবেক ছাত্রদের সংগঠন আইআইইউসি ল’ এলামনাই এসোসিয়েশন এর সদস্যরা চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ২০২৪ সালের নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং দলের বিভক্তির কারণে সম্পাদকীয় পদে বিজয়ী হতে ব্যর্থ হয়েছে। সংগঠনের মধ্যে বিরোধিতা, দলের অস্থিরতা এবং নির্বাচনী ভোটবিক্রির ঘটনা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।

আইআইইউসি এলামনাই এসোসিয়েশন, যার বর্তমান ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০, তার সদস্যরা বেশিরভাগই জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামিক চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। তবে, এই সদস্যদের মধ্যে একাধিক নেতার পক্ষ থেকে স্থানীয় ও জাতীয় দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি এবং নির্বাচনী সময়ে বিরোধী প্রার্থীদের কাছে ভোট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য ভেঙে পড়েছে এবং এর প্রভাব দলের নির্বাচনী ফলাফলে পড়েছে।

এডভোকেট কাজী আশরাফুল হক আনসারী জুয়েল, যিনি তিনবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং অবশেষে অর্থ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন, প্রথমবার যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তখন তিনি পরাজিত হন। তার পরাজয়ের কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য, হেরে যাওয়া প্রার্থীদের বিরোধিতা এবং ভোট কেনাবেচার ঘটনাগুলোর প্রভাব। এক প্রার্থী জানিয়েছেন, তিনি এক সাবেক সভাপতি কে ২২ হাজার টাকা দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই টাকা নেওয়ার পরেও তাকে নির্বাচনে বিরোধিতা করা হয়েছে। একইভাবে, আরেক সাবেক নেতা রাতের অন্ধকারে ২০,০০০ টাকা নিয়ে অন্য প্রার্থীদের ভোট কেনাবেচার প্রক্রিয়া চালান। এ ধরনের ঘটনা নির্বাচনে ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে, যেখানে জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও কিছু প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেননি।

আইআইইউসি এলামনাই এসোসিয়েশন এর সদস্যরা ভবিষ্যতে সম্পাদকীয় পদে নির্বাচন করতে হলে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এটি তাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। নেতৃবৃন্দের মধ্যে এই ধরনের অস্থিরতা ও দলের মধ্যে বিভক্তি অব্যাহত থাকলে, এই অ্যাসোসিয়েশন থেকে সম্পাদকীয় পদে নির্বাচিত হওয়া কঠিন হয়ে উঠবে।

নির্বাচনী ত্রুটি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কিছু সম্ভাবনাময় প্রার্থী, যারা নির্বাচনে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, তারা হারেন এবং পদ পাওয়ার সুযোগ হারান। এ কারণে, ভবিষ্যতে তারা যদি ঐক্যবদ্ধ না হতে পারে তবে দলের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে। আইআইইউসি এলামনাই এসোসিয়েশন এর নেতাদের এই অভ্যন্তরীণ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা এবং দলের মধ্যে সমঝোতা তৈরি করা এখন অতীব জরুরি।

সংগঠনের সিনিয়র সদস্যরা আশাবাদী যে, আগামী নির্বাচনে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হবেন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারবেন। তবে, অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর না করলে, ভবিষ্যতে সম্পাদকীয় পদে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।